সংক্ষিপ্ত ইতিহাসঃ
১৯৫৫ সালে করাচী ও ঢাকায় দু’টি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট স্থাপিত হয় । তৎকালীন সি,এল,আই ডিপার্টমেন্টের অধীনে আমেরিকার র্ফোড ফাউন্ডেশন-এর অর্থনুকূল্যে স্থাপিত হয় বর্তমানে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট (ইপিপিআই) । আমেরিকার ওকলাহামা স্টেট ইউনিভারসিটির কারিকুলাম অনুসরণে পরিচালিত তিন বছর মেয়াদী চারটি টেকনোলোজীতে (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও পাওয়ার) ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে পরিচালিত ডিপ্লোমা স্তরের কোর্সটি Associates in Engineering নামে প্রত্যয়ন হতো। ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এ পরিচালিত তিন বৎসর মেয়াদী চারটি টেকনোলোজীতে (সিভিল, মেকানিক্যাল, ইলেক্ট্রিক্যাল ও পাওয়ার) ১২০ জন শিক্ষার্থী নিয়ে ডিপ্লোমা স্তরের কোর্সটি চালু করা হয় । পরবর্তীতে শুরু হয় দেশের প্রতিটি শহরে একটি করে পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন প্রক্রিয়া। তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে মোট ১৭টি পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয় । ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ সরকারের অধীনে ৩টি নতুন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপিত হয় । যা বর্তমান সরকারের সুদূর প্রসারিত চিন্তা চেতনার ফলে বর্তমানে বাংলাদেশে ৪৯ টির বেশী সরকারি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ইনস্টিটিউট বয়েছে এবং আরো ২৩টি নতুন পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট স্থাপন প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। কারিগরি শিক্ষা একটি দেশের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির প্রধান হাতিয়ার। তাই এর চাহিদার কথা চিন্তা করে আধুনিক টেকনোলজী সহ এর আরো সম্প্রসারণ প্রয়োজন।
ঢাকা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে বর্তমানে স্থাপত্য, অটোমোবাইল, সিভিল, কম্পিউটার, ইলেক্ট্রিক্যাল, ইলেকট্রনিক্স, ফুড, কেমিক্যাল, এনভায়রনমেন্টাল, এয়ারকন্ডিশন ,পাওয়ার এবং অটোমোবাইল টেকনোলজী সহ মোট ১২টি টেকনোলজীতে প্রায় ১০৮০০ (দশ হাজার আটশত) জন শিক্ষার্থী ১০৮ গ্রুপে ভাগ হয়ে ক্লাস পরিচালিত হচ্ছে ।
একনজরে ঢাকা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটঃ
স্থাপিতঃ
১৯৯৫
মোট জমির পরিমানঃ
২৭ একর
মোট টেকনোলজি সংখ্যাঃ
১২
মোট শিক্ষক সংখ্যাঃ
১০৩ জন
মোট কর্মচারি সংখ্যাঃ
৯৮ জন
মোট শিক্ষার্থী সংখ্যাঃ
২৭০০ জন
টেকনোলজিসমূহের নামঃ
১। কম্পিউটার
২। ইলেকট্রিক্যাল
৩। ইলেক্ট্রনিক্স
৪। সিভিল
৫। মেকানিক্যাল
৬। অটোমোবাইল
৭। আর্কিটেকচার
৮। কেমিক্যাল
৯। ফুড
১০। এনভায়রনমেন্টাল
১১। রেফ্রিজারেশন এন্ড এয়ার -কন্ডিশন
১২। পাওয়ার